মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

বাংলাদেশ

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিশ্বনাথে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছাতে পারছেন না সংসদ সদস্য

বাংলাট্রাক২৪
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২২, ০৪ : ৪৫



টানা ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। বাসবাড়ির পাশাপাশি প্রধান সড়কেও পানি ঢুকে পড়েছে। আজ শনিবার সকালে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় | ছবি: আনিস মাহমুদ

টানা ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। বাসবাড়ির পাশাপাশি প্রধান সড়কেও পানি ঢুকে পড়েছে। আজ শনিবার সকালে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় | ছবি: আনিস মাহমুদ

ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। মুঠোফোন নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। চারদিকে শুধু পানিবন্দী মানুষের আহাজারি আর কান্নার রোল। উপজেলার খাজাঞ্চি, লামাকাজী, রামপাশা ইউনিয়নের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। আজ শনিবার সকালে ব্যাপক হতাশা নিয়ে কথাগুলো মুঠোফোনে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সিলেট-২ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে এলাকার এমন দুরবস্থার খবর শুনে সড়ক পথে রওনা দিয়েছিলেন। রাতেই সিলেট পৌঁছে শুকনা খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করেন। তবে সকাল থেকে উপজেলার কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। সহায়তার জন্য দুটি গাড়িতে প্রায় চার হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার নিয়ে রওনা দিলেও পানি বেশি থাকায় সেগুলো বিশ্বনাথে পৌঁছাতে পারছে না। তিনি নিজেও বিভিন্ন এলাকা হয়ে বিশ্বনাথে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমি আজ সিলেট থেকে বিশ্বনাথ যাওয়ার তিনটি পথ দিয়ে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝপথ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে না পারছি সেখানে যেতে, না পারছি সিলেটে অবস্থান করতে। বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

মোকাব্বির খান আরও বলেন, ‘ গতকাল এলাকার মানুষের কাছে ফোন করেছিলাম। বন্যায় আটকে পড়া মানুষের আহাজারি শুনতে পেয়ে আমি দ্রুত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের উদ্ধার করতে নেই কোনো নৌকার ব্যবস্থা। তবে গতকাল বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসক আমাকে আশ্বস্ত করার পরও এখনো প্রশাসন উদ্ধারকাজে নামেনি। এখন আমার নির্বাচনী এলাকার চারদিকে শুধু কান্না আর বাঁচার জন্য আর্তনাদ। জেলা প্রশাসক বলেছিলেন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রিত ব্যক্তিদের শুকনা খাবার এবং যেখানে রান্না করার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যেদিক থেকে খবর পাচ্ছি, সেদিকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত থাকা দল পাঠাচ্ছি।’